জামায়াত পেল নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরিয়ে, বড় সিদ্ধান্ত ইসির

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় আলোড়ন তুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ পুনর্বহাল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০২৫ সালের ২৪ জুন (মঙ্গলবার) ইসি সচিব আখতার আহমেদের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের আলোকে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর ইসির মাধ্যমে প্রকাশিত নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি এখন থেকে বাতিল বলে গণ্য হবে। ফলে, জামায়াতে ইসলামী আবারও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেল এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরিয়ে দেওয়া হলো

এক দশক পর রাজনীতির মাঠে ফিরল জামায়াত

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দলের ভূমিকা ও পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ২০১৩ সালে বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক প্রশাসনিক নির্দেশনার ভিত্তিতে দলটির প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ বাতিল করা হয়

এই দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা ও রাজনৈতিক অন্তরায় কাটিয়ে অবশেষে প্রায় এক দশক পর আবারও নিবন্ধন ফিরে পেল দলটি, যা দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নির্বাচন সামনে রেখে বড় সমীকরণ

নিবন্ধন পুনর্বহাল হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে জামায়াতে ইসলামী সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। দলটি যদি সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির একটি শক্তি আবারও ভোটের মাঠে সক্রিয় হবে। এ সিদ্ধান্তে আনন্দিত দলটির নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছেন।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকরা এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কেউ একে গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এটিকে বিতর্কিত রাজনৈতিক দলের পুনরায় বৈধতা প্রদান বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

জনমনে প্রশ্ন: নতুন জামায়াত নাকি পুরনো রূপে প্রত্যাবর্তন?

এখন প্রশ্ন উঠেছে, জামায়াতে ইসলামী তাদের রাজনৈতিক কৌশলে পরিবর্তন এনেছে কিনা বা তারা নতুন রাজনৈতিক ধারা ও নীতি গ্রহণ করবে কিনা। সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও এই বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে।