ঈদুল আজহার খুশি যখন বিশ্বজোড়ায় ছড়িয়ে পড়ছে, তখনই গাজার উপত্যকায় বেদনার আঁধারে হারিয়ে যাচ্ছে উৎসবের রঙ: ৬ জুন ২০২৫ তারিখে, সারা পৃথিবী রঙিন নতুন জামা-পোশাকে সেজেছে, কুরবানির পশু ও পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, কিন্তু গাজার মানুষের একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হলো ‘এক টুকরো রুটি’—খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের অপেক্ষা।
খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যু বাড়ছে, আন্তর্জাতিক জরিপ অনুযায়ী মে মাসে ‘acute malnutrition’ বেড়েছে এবং অনেকে মরছেন অভুক্ত অবস্থায়। গত তিন মাসে প্রায় সমস্ত পশু-সম্পদ ধ্বংস, ফলে কুরবানির ঐতিহ্য ম্লান; একের পর এক বিমান হামলায় ঘরবাড়ি, স্মৃতি, আত্মীয়স্বজন সব কিছু মুছে গেছে। মা-বাবারা বলেন, “গত বছর শিশুকে বলে দিয়েছি ‘যুদ্ধ শেষ, ঈদে ফিরে যাবো’ —এবার বলার মতো কিছুই নেই।”
সামরিক ‘tactical pause’-এর মধ্য দিয়ে কিছু ত্রাণ পৌঁছালেও, নিরাপত্তা ও লজিস্টিক সীমাবদ্ধতায় তা বাধাগ্রস্ত। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থা যুদ্ধ বন্ধ ও ত্রাণ প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতা এখনও কলুষিত। গাজার মানুষদের ঈদের আনন্দ নেই, শুধু বেঁচে থাকার লড়াই, আর বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃঢ় ও দ্রুত সহায়তা ছাড়া তারা বাঁচতে পারবে না।