ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে গুমট পরিস্থিতি, আজ বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক

প্রতিবেদক নিউজমার্ট ডেস্ক
15 বার দেখা হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুমট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক সন্ধিক্ষণে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিলেও, ইতোমধ্যে কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে তাকে পদত্যাগ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই জটিল পরিস্থিতিতে আজ (শুক্রবার) তিনি কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন।

বিশেষ করে, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সঙ্গে আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নির্ধারিত হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. ইউনূস বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটিতে আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমাদের বৈঠক আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রতিনিধি দলে কারা কারা থাকবেন, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।”

অন্যদিকে, রাত সাড়ে ৮টায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। জামায়াতের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেবেন দলটির আমির ড. শফিকুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত থাকবেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মনে করছি, একটি সর্বদলীয় আলোচনার মাধ্যমেই সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব। এ কারণেই আমাদের আমির মহোদয় প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম, এবং তাঁর কার্যালয় থেকে আমাদের আজ রাতেই সময় দেওয়া হয়েছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূসের পদত্যাগ ইস্যুতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অনিশ্চয়তার দিকে মোড় নিতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আজকের বৈঠকগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে বৈঠকের পর, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও পরবর্তী দিনে আলোচনা হতে পারে বলে আভাস মিলেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে।

সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচনের সময়সূচি ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে যে সংশয় ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হয়—তা নির্ভর করবে আজকের বৈঠকগুলো থেকে কী বার্তা বের হয়ে আসে, তার উপর।

নিউজটি শেয়ার করুন