“আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ চান ইশরাক হোসেন: অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন”

প্রতিবেদক নিউজমার্ট ডেস্ক
25 বার দেখা হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক ঢাকা দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বুধবার (২১ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে এ দাবি জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেন, “গণতান্ত্রিক ভাষায়, রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে যৌক্তিক কারণেই আমি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি।” তিনি যুক্তি দেন, যেহেতু উক্ত দুই উপদেষ্টার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট এবং ভবিষ্যতে তারা সরাসরি রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন, এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাই তাদের দায়িত্বে থাকা নিরপেক্ষতার পরিপন্থী।

ইশরাক আরও বলেন, “আপনারা হয়তো ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাহলে এখন পদত্যাগের দাবি কি অযৌক্তিক? বরং এটি হবে একটি সঠিক পদক্ষেপ এবং আপনাদের ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কের অবসান ঘটবে।”

তিনি নাহিদ ইসলামের উদাহরণ টেনে বলেন, “নাহিদ ইসলাম মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করে দলীয় রাজনীতিতে যোগ দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা অনুসরণযোগ্য। উনি চাইলে আরও কিছুদিন মন্ত্রী থেকে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি নৈতিক অবস্থান বেছে নিয়েছেন।” ইশরাক আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমও একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার ও রাজনীতির মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন তৈরি করতে পারবেন।

বিএনপির এই নেতা মনে করেন, উপদেষ্টারা পদত্যাগ করলে বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, “ক্ষমতা ধরে রাখলে দলীয় স্বার্থে বিশেষ সুবিধা প্রদান করতেই হয়—এটি একটি বাস্তবতা। শতভাগ নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব নয়, এমনকি কারোর পক্ষেই নয়।”

নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ইশরাক লেখেন, “আমাকেও অনেক সময় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে দেশের স্বার্থে, জনগণকে সঠিক পথে পরিচালিত করার প্রয়োজনেই এসব সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখন যদি আপনারা ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে আপনাদেরও কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়তেই হবে।”

ইশরাক হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, “আপনারা যে ভুল কৌশলের শিকার হচ্ছেন, তা বোঝানোই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আজ অবধি আমাকে যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা যৌথ সিদ্ধান্তের ফল। কিন্তু এটিই ছিল ভুল নীতি, আর ব্যবহার করা হচ্ছে আপনাদের।”

পোস্টের শেষ অংশে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আপনাদের পদত্যাগের দাবি থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। এখন প্রশ্ন হলো, আপনারাই বা কেন থাকতে চাইছেন?”

নিউজটি শেয়ার করুন