আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের অবস্থান, যমুনা অভিমুখে মার্চের ঘোষণা

প্রতিবেদক নিউজমার্ট ডেস্ক
8 বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগকে ‘ফ্যাসিবাদী’ দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে চলমান অবস্থান কর্মসূচি শনিবার রাতে স্থান পরিবর্তন করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় থেকে সরে এসে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে অবস্থান নেয়।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র অভিমুখে পদযাত্রা করবে। এর আগ পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান চালিয়ে যাবে। আন্দোলনকারীরা আরও জানিয়েছেন, উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারিত হবে।

এর আগে বিকেলে গণজমায়েতে এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি)-র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “যে শাহবাগ থেকে এক সময় ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা গিয়েছিল, সেই শাহবাগ থেকেই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ছি না।”

শনিবারের এই অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান এবং মাঝে মাঝে স্লোগান দেন আওয়ামী লীগবিরোধী বক্তব্যে।

বিক্ষোভ ও অবস্থানের কারণে আজও শাহবাগ মোড়ের চারপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরি সেবার যানবাহনগুলোকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব এবং গোয়েন্দা সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ সূত্র।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই মাসে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছে—এ অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সরকার এই দাবি উপেক্ষা করলে তারা দেশব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি এক গভীর রাজনৈতিক সংকেত দিচ্ছে, যেখানে সরকারি দলের বিরুদ্ধে জনরোষ ও সংগঠিত আন্দোলন নতুন মাত্রায় রূপ নিচ্ছে। যদিও সরকারি মহল থেকে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন