নর্দান ইউনিভার্সিটিতে PUNAB আয়োজিত সভা: ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার প্রয়াস

আজ রাজধানীর নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এ অনুষ্ঠিত হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা, যার আয়োজন করে Progressive University Network of Active Brains (PUNAB)। “ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রত্যয়ে” শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলী চিহ্নিত করা, তাঁদের দক্ষতা উন্নয়নে দিকনির্দেশনা প্রদান এবং নেতৃত্বে নিজেদের বিকশিত করার সুযোগ তৈরি করা। সভায় বক্তারা বলেন, নেতৃত্ব মানে শুধুমাত্র সামনে দাঁড়িয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া নয়— বরং এটি একটি দায়িত্ব, যেখানে একজন নেতা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করেন এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও মতামত ভাগ করে নেন। তাঁরা জানান, কীভাবে নিজেদের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নের মাধ্যমে নেতৃত্বে এগিয়ে আসা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের অনেকেই স্বীকার করেন, এ ধরণের প্ল্যাটফর্ম তাদের চিন্তাধারা প্রসারিত করতে এবং নিজেদের নতুনভাবে চিনতে সাহায্য করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা তরুণদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তাঁদের মতে, একজন ভালো নেতা গড়ে ওঠেন চর্চা, আত্মসমালোচনা, ও অন্যদের সহানুভূতির সাথে বোঝার মাধ্যমে। ভবিষ্যৎ সমাজ গঠনে নেতৃত্বের বিকাশ অত্যন্ত জরুরি এবং এর সূচনা শিক্ষাজীবন থেকেই হওয়া উচিত।

PUNAB-এর এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বীজ বপনের পাশাপাশি একে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করেছে। আয়োজকেরা জানান, ভবিষ্যতে আরও এমন সভা ও কর্মশালার আয়োজন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের চিন্তাশক্তি, পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক দক্ষতা আরও দৃঢ়ভাবে গড়ে তুলতে পারেন।

সভা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে একটি মুক্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তাঁরা নিজেদের পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ভাবনার রূপরেখা তুলে ধরেন। এই ধরণের অংশগ্রহণমূলক পর্ব তাদের স্বচ্ছ, আত্মবিশ্বাসী ও সহানুভূতিশীল নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করবে বলেই আয়োজকেরা বিশ্বাস করেন।

অংশগ্রহণকারীদের একজন বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠান আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে নিজেকে আরও গভীরভাবে জানার ও সমাজে সত্যিকারের পরিবর্তন আনার মতো নেতা হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য।”

এই আয়োজন নিঃসন্দেহে এক প্রেরণাদায়ক পদক্ষেপ, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি সচেতন ও নেতৃত্ববান সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।