বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনার অবতারণা হয়েছে। ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) সম্মানিত প্রক্টর প্রফেসর আসাদুজ্জামান খান দুর্বৃত্তদের নির্মম হামলার শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, তিনি বাসায় অবস্থানকালে একদল দুর্বৃত্ত হঠাৎ করেই তার ওপর আক্রমণ চালায়। হামলার ফলে তিনি গুরুতরভাবে রক্তাক্ত হন।
প্রফেসর আসাদুজ্জামান খান জুলাই আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে রাজপথে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি বরাবরই আপসহীন ভূমিকা পালন করে এসেছেন। তার প্রতি এমন বর্বর হামলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাৎক্ষণিকভাবে আইইউবি’র অসংখ্য শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা স্লোগানে স্লোগানে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, “যে মানুষটি আমাদের অধিকার আদায়ের পথে সবসময় সামনে ছিলেন, আজ তাকেই যদি নিরাপত্তা না দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের কারোরই নিরাপত্তা নেই।” তারা রাতের মধ্যেই হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই জঘন্য হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। প্রক্টর স্যারের ওপর হামলার পেছনে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে আমরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহায়তা করবো।”
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
বহু শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং প্রফেসর আসাদুজ্জামান খানের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলছে এবং অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।