চিলির ঘরের মাঠে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে জয় পেল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। জুলিয়ান আলভারেজের একমাত্র গোলের সুবাদে লা রোহাকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচটি বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ১৭ বছর বয়সী তরুণ ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনোর অভিষেকের জন্য, যিনি আর্জেন্টিনার ইতিহাসে বাছাইপর্বে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামলেন।
এই জয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল লিওনেল স্কালোনির দল। অপরদিকে, হারের ফলে চিলির সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন প্রায় নিভে গেছে। এখন তাদের ভরসা শুধু প্লে-অফ।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের ১৬তম মিনিটেই আসে জয়সূচক গোলটি। লেও বালার্দির ডিফেন্স থেকে বল ছিনিয়ে দুর্দান্ত গতিতে উঠে আসেন থিয়াগো আলমাদা। তাঁর সঙ্গে ওয়ান-টু পাসে বল পান জুলিয়ান আলভারেজ, যিনি ঠান্ডা মাথায় চিলির গোলরক্ষক কোর্টেসকে পরাস্ত করে বল পাঠান জালে।
চোট কাটিয়ে ফেরা লিওনেল মেসি এই ম্যাচে বেঞ্চ থেকে শুরু করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮তম মিনিটে নিকো পাজের পরিবর্তে মাঠে নামেন তিনি। তার উপস্থিতিতে আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ কিছুটা চাঙ্গা হলেও দ্বিতীয় গোলের দেখা পায়নি দলটি।
চিলি অবশ্য ম্যাচের শেষভাগে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। কর্নার থেকে পাওয়া সুযোগগুলোতে আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগকে চাপে ফেলে দেয় তারা। তবে গোলপোস্টের নিচে থাকা ‘দ্য ওয়াল’ এমিলিয়ানো মার্তিনেজ ছিলেন এক কথায় দুর্দান্ত। শেষ মুহূর্তে দুটি নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন তিনি।
ম্যাচের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল তরুণ মাস্তান্তুয়োনোর অভিষেক। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি আন্তর্জাতিক বাছাইপর্বে খেললেন, যা তাকে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের রেকর্ড এনে দিয়েছে।
আরও কিছু উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত:
- ৩৭ মিনিটে গুলিয়ানো সিমেওনের শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়।
- দ্বিতীয়ার্ধে চিলির একাধিক কর্নার থেকে সুযোগ সৃষ্টি হলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা।
- ম্যাচের শেষদিকে চিলির ভিদাল ও আর্জেন্টিনার ডি পলের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। ঠিক এর পরপরই আর্জেন্টিনার এক গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।
এই জয়ে ১৫তম রাউন্ড শেষে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকার বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রইল আর্জেন্টিনা। চিলি ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে, এবং তাদের জন্য প্লে-অফের দৌড় এখন বেশ কঠিন হলেও এখনও সম্পূর্ণ শেষ হয়নি।
স্কালোনির দল এখন তাদের পরবর্তী ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে শক্তিশালী কলম্বিয়ার। অন্যদিকে, চিলির সামনে এখন শুধু জয়ের বিকল্পই খোলা।