দীর্ঘ ৫৫ মাস পর ঢাকায় ফিরেই দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচে গোল করেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী ও অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সোহেল রানা।
প্রথমার্ধে স্বপ্নের শুরু হামজার
ম্যাচের শুরু থেকেই ভুটানকে চাপের মুখে রাখে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ষষ্ঠ মিনিটেই আসে কাঙ্ক্ষিত গোলটি। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে অসাধারণ হেডে গোল করে দেশীয় জার্সিতে নিজের অভিষেক গোল করেন হামজা চৌধুরী। এটি ছিল তার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাংলাদেশের হয়ে এটি ছিল এক স্মরণীয় মুহূর্ত।
ইতালিপ্রবাসী নবাগত ফাহমিদুল অবশ্য নিজের অভিষেকে গোলের দেখা পাননি। ৩০ ও ৩১তম মিনিটে দুটি সহজ সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন তিনি। প্রথমে রাকিব হোসেনের থ্রু থেকে ও পরে শাহ কাজেমের বাড়ানো বল থেকে সুযোগ মিস করেন। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে বাংলাদেশের এগিয়ে থাকার মাধ্যমে।
দ্বিতীয়ার্ধে সোহেলের বাজিমাত
বিরতির পর কোচ ক্যাবরেরা তিনটি পরিবর্তন এনে নামান হৃদয়, মোরসালিন ও ইব্রাহিমকে। মাঠ ছাড়েন হামজা, জামাল ও কাজেম। এই রদবদলের সুফল দ্রুতই মেলে। ৪৮তম মিনিটে দূরপাল্লার দুর্দান্ত শটে ভুটানের জালে বল জড়ান সোহেল রানা। এতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর রাকিব হোসেন আরেকটি নিশ্চিত সুযোগ মিস করলে ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তবুও গোটা ম্যাচে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে স্বাগতিকরা। আর ভুটান গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারায় ম্যাচ শেষ হয় ২-০ ব্যবধানে।
নতুন প্রত্যাবর্তনে আশার আলো
দীর্ঘ সময় পর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা যায়। খেলার পাশাপাশি হামজা চৌধুরীর পারফরম্যান্স বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য নতুন আশা জাগিয়েছে। সোহেল রানার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বও ছিল প্রশংসনীয়।
স্প্যানিশ কোচ ক্যাবরেরা এই ম্যাচের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আগামী ম্যাচের জন্য সম্ভাব্য একাদশ ঝালিয়ে নেন। ফলে এই জয় শুধু একটি প্রীতি ম্যাচ জয় নয়, বরং বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগেই দলের প্রস্তুতির জন্যও এক বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।