পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার (৪ জুন)। এর আগে সৌদি আরবের মক্কায় চলছে শেষ মুহূর্তের জোর প্রস্তুতি। নিরাপত্তা, চিকিৎসা সেবা, সড়ক শৃঙ্খলা ও প্রযুক্তি—সব দিক থেকেই এবার হজ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিয়েছে ব্যাপক উদ্যোগ।
সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর ৭১টি দেশ থেকে ৩৩১৪টি ফ্লাইটে হজযাত্রীরা মক্কায় এসেছেন। যাত্রীসেবার জন্য ২০ লাখ হজযাত্রীর জন্য ‘স্যাক্রেড সাইটস ট্রেন লাইন’ বা আল মাশায়ের আল মুগাদ্দাসা মেট্রো চালু করা হয়েছে, যা হজের সাতদিনে ৪৯০০ বার ট্রিপ দেবে। মিনা, আরাফা ও মুজদালিফার মতো পবিত্র স্থানগুলোতে এই ট্রেন যাত্রীদের পরিবহনে ব্যবহার করা হবে।
উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার
সৌদি পরিবহন ও লজিস্টিক সার্ভিসেস মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সালেহ আল জাওয়াইদ জানিয়েছেন, এ বছর হজে যাত্রী পরিবহনে ২৫ হাজারের বেশি বাস ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো নিরাপদ, আরামদায়ক এবং আধুনিক সুবিধা সংবলিত। বাসগুলোর রুট ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবহৃত হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (AI) প্রযুক্তি ও ড্রোন। ইতোমধ্যেই ৭৪০০ কিলোমিটার সড়ক স্ক্যান করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হারামাইন হাই স্পিড রেলওয়ের ট্রিপ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৭৫% বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিমান, স্থল ও সমুদ্রপথে আগত হজযাত্রীদের জন্যও জোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সুবিধা
হজ চলাকালে লক্ষাধিক মানুষের ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে মক্কা, মদিনা ও পবিত্র স্থানগুলোতে ফোরজি ও ফাইভজি কভারেজ ৯৯% পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, জানিয়েছেন হজ বিষয়ক যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগের মুখপাত্র সা’দ আল শানবারি। পাশাপাশি ১০ হাজার ৫০০টির বেশি স্থানে Wi-Fi পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে, যাতে হজযাত্রীরা সহজে ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সেবা
হজের সময়ে আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় মনিটরিং সিস্টেম ও জরুরি মেডিকেল ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। হজযাত্রীর স্বাস্থ্য সেবায় উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রয়েছে।
বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ:
- ৩৩১৪টি ফ্লাইটে আগত হজযাত্রী
- ২০ লাখ যাত্রীর জন্য ৪৯০০ ট্রেন ট্রিপ
- ২৫ হাজার বাস ও শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- ৯৯% ফোরজি/ফাইভজি কভারেজ ও ১০,৫০০+ Wi-Fi পয়েন্ট