ঢাকার বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) থেকে ৭ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী মহলে উদ্বেগ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানে এই বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২৬ এপ্রিল। সেদিন একটি প্রতিবাদমূলক কর্মসূচিতে অংশ নেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ তোলে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এরপর ২২ মে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কাছে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটির মিটিং হয় ১ জুন, আর এর পরদিন, ২ জুন, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে চিঠি দেওয়া হয়। প্রশাসনের দাবি, শিক্ষার্থীদের লিখিত জবাব ছিল “অসন্তোষজনক” এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
তবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোনো স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়াই এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের উপযুক্ত সুযোগ না দিয়েই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিক বলেই মনে করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আচরণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে মনে করছেন, মতপ্রকাশের অধিকার চর্চার কারণেই শিক্ষার্থীদের টার্গেট করা হয়েছে। এর ফলে UIU ক্যাম্পাসে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। মানবাধিকারকর্মীরাও বিষয়টি নজরে রাখছেন বলে জানা গেছে।