চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে হেল্প ডেস্ক চালানোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে শিবিরের অন্তত চারজন কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতার জন্য কলেজের সামনে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে ছাত্রশিবির। সেখানে বসে বিশ্রাম নেওয়া, পানি পান এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
শিবিরের দাবি, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী এসে হেল্প ডেস্ক সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে আকস্মিকভাবে তারা হামলা চালায়। এতে আহতদের মধ্যে শিবিরের মহানগর দক্ষিণ কলেজ শাখার সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান জীবন ও আব্দুল হাদী রাহির পরিচয় পাওয়া গেছে।
ঘটনার পরপরই ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি ভিডিওসহ বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি বলেন, “ভালো কাজের প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা, কিন্তু সেখানে ভালো কাজ বন্ধ করতে সন্ত্রাসী হামলার পথ বেছে নিয়েছে ছাত্রদল।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, শুধু চট্টগ্রাম নয়, রংপুর পুলিশ লাইনসেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য স্থাপিত ফ্রি হেল্প ডেস্কে হামলা চালানো হয়েছে। সেখানেও ছাত্রকল্যাণমূলক কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হয়েছে।
সাদিক কায়েম সতর্ক করে বলেন, “ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাস রুখে না দিলে কেউই নিরাপদ থাকবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা নিয়ে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”
হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে ঘটনার পর কলেজ এলাকায় কিছু সময় উত্তেজনা বিরাজ করে।
উল্লেখ্য, ছাত্রশিবির কর্তৃক পরিচালিত হেল্প ডেস্কগুলো মূলত ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য স্থাপন করা হয়, যেখানে পানীয় জল, বসার ব্যবস্থা এবং তথ্য সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে এসব কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।