ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রোবটিক্স ক্লাবের তিনদিন ব্যাপী ওয়ার্কশপের প্রথমদিনের সেশন সম্পন্ন

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইউবি) রোবটিক্স ক্লাব আয়োজিত তিনদিনব্যাপী রোবটিক্স ওয়ার্কশপের প্রথম দিনের সেশন সোমবার (২৬ মে) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিমুলেশন ল্যাবে আয়োজিত এ কর্মশালায় অংশ নেয় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

দুপুর ২টায় ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী সেশনের মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপী কার্যক্রম। এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং রোবটিক্স ক্লাবের উপদেষ্টা রুমানা তাসনীম। তিনি বলেন, “রোবটিক্স শুধু প্রযুক্তি নয়, এটি ভবিষ্যতের জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আমাদের শিক্ষার্থীরা এই ক্ষেত্রের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।”

প্রথম দিনের মূল বিষয় ছিল “বেসিক রোবটিক্স এবং বিভিন্ন সেন্সরের কাজ”। সেশনটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (আরএন্ডডি) আ.স.ম নাসিম এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (আরএন্ডডি) সাজিদ মৃধা।

তারা অংশগ্রহণকারীদের রোবটিক্সের মৌলিক ধারণা, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে রোবটিক্সের সংযোগ এবং বাস্তব জীবনে রোবটিক্সের ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় বিভিন্ন সেন্সরের কার্যপ্রণালী এবং বাস্তব জীবনে এর ব্যবহারিক প্রয়োগের ওপর। আলোচনায় উঠে আসে আলট্রাসনিক সেন্সর, আইআর (ইনফ্রারেড) সেন্সর, টেম্পারেচার সেন্সরসহ বিভিন্ন সেন্সরের কার্যক্রম ও ব্যবহারের কৌশল।

ওয়ার্কশপের ব্যবহারিক অংশে শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিভিন্ন সেন্সর সংযোগ ও ডেটা পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণ করে। হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা রোবটিক্স প্রযুক্তিকে বাস্তবভাবে বোঝার সুযোগ পায়, যা তাদের আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাসকে দৃঢ় করে।

একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “ব্যবহারিকভাবে কাজ করতে পারায় অনেক কিছু শেখা গেছে। শুধু বই পড়ে যা বুঝা যায় না, বাস্তবে সেটা দেখলে অনেক পরিষ্কার হয়।”

ওয়ার্কশপের আয়োজকরা জানান, বাকি দুই দিনেও থাকবে আরও উন্নত বিষয়ভিত্তিক সেশন, যেখানে রোবটিক্স প্রোগ্রামিং, অটোনোমাস বট তৈরি এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ভিত্তিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স ক্লাব নিয়মিতভাবে এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে আসছে, যাতে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রযুক্তি শেখার সুযোগ তৈরি হয়। আয়োজকরা আশা করছেন, এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা ও প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা গড়ে উঠবে, যা ভবিষ্যতের জন্য বড় ভূমিকা রাখবে।