“ড. ইউনূস আমাদের প্রতিপক্ষ নন, সমাধানের পথে সবাইকে আসতে হবে” — জামায়াত আমির

প্রতিবেদক নিউজমার্ট ডেস্ক
15 বার দেখা হয়েছে

জাতীয় সংকট সৃষ্টি হওয়ার আগেই রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের প্রতিপক্ষ নন। তিনি জোর করে ক্ষমতায় আসেননি। বরং আমরা সবাই মিলে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছি। তাই এখন আমাদের দায়িত্ব তাঁকে সহযোগিতা করা।”

শনিবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এই সময়ে তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ওপর আস্থা রেখে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন, “এই সরকার জনগণের সরকার, আমাদের সরকার। জাতি যদি সংকটে পড়ে, তাহলে কেউ দায় এড়াতে পারবে না। সেই দায় সৃষ্টি হওয়ার আগেই আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমি সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাই, আসুন আমরা সবাই মিলে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করি।”

তিনি বলেন, “ড. ইউনূস বারবার বলেছেন, তিনি চান চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হোক। আমরা তার কথায় আস্থা রেখেছি এবং সহযোগিতা করে যাচ্ছি। জামায়াত কখনোই কোনো অসহযোগিতা করেনি। বরং সবসময় প্রয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করেছে।”

এ সময় দেশের চলমান কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এখন দেশে পার্লামেন্ট নেই, তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত রাজনৈতিক দলগুলোকেই বিকল্প সংসদ হিসেবে বিবেচনা করে সংলাপ শুরু করা।”

সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। তাদের নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। আমরা চাই সেনাবাহিনী দেশ ও জাতির কল্যাণে অব্যাহতভাবে অবদান রাখুক। তাই সবাইকে দায়িত্বশীল ভাষা ও আচরণ বজায় রাখতে হবে।”

দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “এই সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক সদস্যকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমাজের সৌন্দর্য রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কোনোভাবেই আমাদের দ্বারা অশান্তির উদ্ভব হওয়া উচিত নয়।”

তিনি বলেন, “জনগণের প্রত্যাশার জায়গায় পৌঁছাতে জামায়াত অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং ভবিষ্যতেও করতে প্রস্তুত। আমরা চাই আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি কল্যাণময় বাংলাদেশ গড়ে উঠুক।”

এই সময় জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম মাসুমসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন