নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তার হলে তিশা, ফারুকীও গ্রেপ্তার হওয়ার কথা : রাশেদ

প্রতিবেদক নিউজমার্ট ডেস্ক
24 বার দেখা হয়েছে

সাম্প্রতিক সময়ে নুসরাত ফারিয়াসহ কয়েকজন শিল্পীর গ্রেপ্তারকে “গণহত্যার বিচারকে হালকা করার অপচেষ্টা” বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। শনিবার (১৮ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, “নুসরাত ফারিয়াদের গ্রেপ্তার করে মূলত গণহত্যার বিচারকে হালকা করা হচ্ছে। নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তার হলে তিশারাও গ্রেপ্তার হবে। এমনকি সারাজীবন আওয়ামী লীগের সুবিধা নেওয়ার জন্য ফারুকীও অ্যারেস্ট হওয়ার কথা। কিন্তু?”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ডামি ৩০০ এমপি ধরার খবর নেই, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেই, অথচ নুসরাত ফারিয়াদের গ্রেপ্তার করে হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।” তিনি আরও দাবি করেন, “স্বয়ং বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তার সম্পদ পাহারা দিচ্ছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানার স্বামী আবু বক সিদ্দিক সাহেব। সাবের-মান্নানদের জামিন তদবির করছেন রেজওয়ানা আপারা। উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন শেখ মুজিবপন্থী আলী ইমাম মজুমদারের মতো ব্যক্তিরাও।”

রাশেদ খান বলেন, “এই অবস্থায় সরকার ডাকাত না ধরে ছিঁচকে চোর ধরতে ব্যস্ত। আর ডাকাতদের সেফ এক্সিট ও প্রটেকশন দিচ্ছে। গণহত্যার বিচার ও দাবিকে নরমালাইজড করার জন্য এই ধরনের ফাতরামো শুরু করেছে সরকার।”

তিনি আরও মন্তব্য করেন, “যদি কারও বিরুদ্ধে প্রকৃত অপরাধের অভিযোগ থাকে, তাহলে তার তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত। সন্দেহ থাকলে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তদন্ত করা যেত। কিন্তু রাঘববোয়ালদের ছেড়ে ছিঁচকে চোর ধরে এই নাটকীয়তা কেন?”

রাশেদ খানের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনার জন্ম দেয়। কেউ কেউ তার মন্তব্যকে রাজনৈতিক প্রতিবাদ হিসেবে সমর্থন করলেও, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—আইনের প্রয়োগ ও বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে এমন মন্তব্য কতটা যুক্তিসঙ্গত।

এদিকে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো রাশেদ খানের এই বক্তব্যের কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, নুসরাত ফারিয়াসহ কয়েকজন বিনোদনজগতের তারকাকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে, যা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেউ একে বিচার প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ এটিকে রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী মহলের বিভ্রান্তিকর এজেন্ডা বলেও উল্লেখ করছেন।

গণঅধিকার পরিষদ সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছে। দলটি বলছে, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ন্যায়বিচার এবং রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাই তাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।”

নিউজটি শেয়ার করুন