আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাময়িক নিষিদ্ধ করল অন্তর্বর্তী সরকার

প্রতিবেদক newsmart24
5 বার দেখা হয়েছে

গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার (১০ মে) রাতে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আন্দোলন দমনে সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিচার ব্যাহত করার অভিযোগের ভিত্তিতে দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত এসেছে।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত দুই দিন ধরে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে সদ্যগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠন। শাহবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে কর্মসূচির কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

এনসিপি গঠনের পর থেকেই সংগঠনটি দাবি জানিয়ে আসছিল যে, গত বছরের আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্বীকৃতি বাতিল করতে হবে। বিশেষ করে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ—এই দলটির নেতৃত্বেই গণআন্দোলনে সহিংসতা ছড়ানো হয়েছে এবং তা বিচারহীন থেকে গেছে।

এ পরিস্থিতিতে গত বুধবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময়ের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের থাইল্যান্ডে গমন নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এই ঘটনার পরপরই জাতীয় নাগরিক পার্টি সরকারবিরোধী কর্মসূচিকে আরও সক্রিয় করে এবং শুক্রবার ও শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে একটি ‘প্রাথমিক বিজয়’। তবে দলটির নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের স্থায়ী নিষিদ্ধকরণ এবং বিচারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

এদিকে শনিবার রাত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন