ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অবসান চারদিনের সংঘাতের

প্রতিবেদক নিউজমার্ট ডেস্ক
7 বার দেখা হয়েছে

চারদিনের তীব্র গোলাগুলি ও পাল্টা হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এসেছে শনিবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছেছে এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”

ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ভারত সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার বিকেল ৫টা থেকে দেশটির সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, “পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) আজ বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে ফোন করেন ভারতের ডিজিএমও-কে। ওই আলোচনার পর উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।” তিনি আরও জানান, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য দুই দেশের বাহিনীকে অবিলম্বে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে দুই দেশের ডিজিএমও সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় আবার টেলিফোনে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসাক দার এক বিবৃতিতে বলেন, “পাকিস্তান সবসময় শান্তির পক্ষে। তবে সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে আমরা কখনো আপোস করিনি। ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ নয়, শান্তির মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে সম্মত হয়েছে।”

পাকিস্তানের সময় বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশটির জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসাক দার বলেন, “যুদ্ধ কখনোই কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘদিনের বৈরিতা, সীমান্ত উত্তেজনা ও সাম্প্রতিক সংঘর্ষে উভয় দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে, তা থেকেই যুদ্ধবিরতির এই সিদ্ধান্ত। যদিও এটি কতদিন কার্যকর থাকবে, সে নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে দু’পক্ষেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, যদিও সরকারি হিসেবে সে সংখ্যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন