সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পাকিস্তানে ভারতের হামলা, চরম উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায়

প্রতিবেদক নিউজমার্ট ডেস্ক
7 বার দেখা হয়েছে

পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত নয়টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যেসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো ছিল সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নিয়োগ ঘাঁটি এবং পরিকল্পনা ও হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত। ভারতের দাবি, এই পদক্ষেপ মূলত প্রতিরক্ষামূলক এবং সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জবাবে নেওয়া হয়েছে।

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় একাধিক নিরাপত্তা সদস্য নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর, বুধবার দিবাগত রাতে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে এই হামলা চালানো হয়। ভারত সরকারের মতে, এ ধরনের অভিযান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতের হুমকি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তবে পাকিস্তান সরকার ভারতের দাবিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, মাত্র ছয়টি স্থানে ভারতীয় বাহিনী হামলা চালিয়েছে, আর এসব জায়গায় কোনো সন্ত্রাসী ঘাঁটি ছিল না। তারা এটিকে একটি বেআইনি সামরিক আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

ভারতের এই পদক্ষেপের ফলে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে ফের উত্তেজনার পারদ চরমে পৌঁছেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার জের ধরে যদি পাল্টা জবাব আসে, তবে তা এ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

ভারতীয় সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলায় যেসব স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বালাকোটের একটি পুরনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরের নীলম ভ্যালিতে সন্ত্রাসীদের সমাবেশস্থল, এবং মুজাফফরাবাদ সংলগ্ন একটি অস্ত্রাগার। তারা সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এ ধরনের হামলার মাধ্যমে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই পরিস্থিতি কূটনৈতিকভাবে না সামলাতে পারলে তা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন