
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার ভারত ও পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়েছে দুই দেশের সীমান্তে সাম্প্রতিক গোলাগুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কাবুল জানিয়েছে, এ ধরনের উত্তেজনা এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও স্বার্থের জন্য হুমকি স্বরূপ।
বুধবার ভারতের হামলায় পাকিস্তানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর, আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে। একইদিন, নয়াদিল্লি দাবি করে, পাকিস্তান থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে অন্তত ১২ জন ভারতীয় নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক রূপ নেওয়ায় তালেবান সরকার এ বিবৃতি দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত বিবৃতিতে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “এই অঞ্চলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কেবল নিরীহ নাগরিকদের ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষকে সংলাপ ও কূটনৈতিক পথ অনুসরণের আহ্বান জানাই।”
তালেবান আরও বলেছে, যেকোনো সামরিক পদক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য অশনিসঙ্কেত হতে পারে। “আমরা দিল্লি ও ইসলামাবাদকে সংযম প্রদর্শনের অনুরোধ জানাচ্ছি এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহনশীলতা ও দায়িত্বশীল আচরণের প্রত্যাশা করছি,”—বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। উভয় দেশই একাধিকবার একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। তবে এবার আফগানিস্তান সরাসরি উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই প্রতিবেশী দেশকে সতর্ক করায় বিষয়টি নতুন মাত্রা পেয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আফগানিস্তানের অবস্থান মূলত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা। তালেবান সরকারের এধরনের কূটনৈতিক বার্তা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।