
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও ফলাফল ‘ম্যানিপুলেট’ করার অভিযোগের তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দিয়েছে। সাত মাসেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। এ অবস্থায় কমিটির সদস্য আইন বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।
রোববার (৪ মে) উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, “কমিটির আহবায়ক তদন্তে কোনো অগ্রগতি করছেন না। তাঁর আচরণে মনে হচ্ছে তিনি অভিযুক্তকে রক্ষা করছেন। এ অবস্থায় তদন্ত কমিটিতে থাকা মানে অন্যায়ের সহযোগী হওয়া।”
অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যার আহবায়ক ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখার আলম মাসউদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ইফতিখার বলেন, “আমার বলার কিছু নেই। তিনি (মোর্শেদুল) ভাইরাল হতে চান। আমরা কাজ করছি, কাজ ভাগও করে দিয়েছি। আরও দ্রুত হওয়া উচিত ছিল। আশা করছি শিগগির কাজ শেষ হবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।